যে সাবজেক্ট এ খুব সহজে এ+ পাওয়া যায় তার নামই ICT

 যে সাবজেক্ট এ খুব সহজে এ+ পাওয়া যায় তার নামই ICT । একটু চেষ্টা করলেই আইসিটিতে এ+ পাওয়া সম্ভব। আর গ্রেড বাড়ানোর জন্য আইসিটিতে A+ পাওয়াটা জরুরি। যাদের প্রস্তুতি একটুও নেই তাদেরকে বলি হতাশ হবার কিছু নেই।

 আশা রাখি তোমরা সবাই আইসিটি প্র‍্যাক্টিকেলে ২৫-২৫ পাবা । কারন আইসিটি প্র্যাক্টিক্যাল মার্ক্স দেয় নিজস্ব কলেজের শিক্ষকেরা । ২৫ পেলে A+ পেতে আর কত নাম্বার লাগবে? মাত্র ৫৫ নাম্বার !!! প্রশ্ন হচ্ছে ৫৫ নাম্বার কীভাবে পাবো? এখন আসি কী পড়বো? প্রশ্ন কীভাবে আসবে?


১ম অধ্যায়ঃ

গ্লোবাল ভিলেজের উপাদান,ভার্চুয়াল রিয়েলিটি,ক্রায়োসার্জারি, বায়োম্যাট্রিক, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো টেকনোলজি…

মাত্র এই ৫টি টপিক পড়লেই তুমি এখানে ১০ এর মধ্যে মিনিমাম ৯ পাবেই। এখানের গ,ঘ তে প্রশ্ন আসবে উপরের যেকোনো ৫টা টপিক এর একটা উদ্দীপকে তুলে দিয়ে বলবে উপরের উদ্দীপকে কোন টপিক এর কথা বলা হয়েছে,ব্যাখা কর অথবা চিকিৎসা ক্ষেত্রে/যেকোনো ক্ষেত্রে উপরোক্ত প্রযুক্তিটি কীভাবে সহায়তা করে? তুমি এই টপিকগুলো মন দিয়ে শুধু রিডিং আকারে পড়লেও চোখ বন্ধ করে লিখে দিয়ে আসতে পারবে। মাত্র ২ ঘন্টা মনোযোগ দিয়ে পড়লেই এই অধ্যায় শেষ হয়ে যাবে


২য় অধ্যায়ঃ

ডেটা ট্রান্সমিশন(মোড,মাধ্যম,এলিমেন্ট),ওয়াইফাই,ওয়াইম্যাক্স,হাব ও সুইচ, নেটওয়ার্ক,ক্লাউড কম্পিউটিং।

এই কয়েকটা টপিকস পড়লেই এনাফ! তবে এই অধ্যায়ের সব থেকে ইম্পরট্যান্ট টপিকস হচ্ছে নেটওয়ার্ক টপোলজি। এখান থেকে প্রশ্ন হবে মূলত ছয়টা নেটওয়ার্ক ট্রপোলজির একটা দিয়ে বলবে উপরে কোন নেটওয়ার্কের কথা বলা হয়েছে? কাজ কি? ব্যাখা কর! মন দিয়ে দুই-আড়াই ঘন্টা পড়লেই এই অধ্যায় শেষ হয়ে যাবে। জাস্ট স্টার,রিং,বাস,ট্রি বাকি নেটওয়ার্কের কাজগুলা আর টপিকসটা বুঝে নিবা। যেনো পরিক্ষায় উদ্দীপকে কোনটার কথা বলা হয়েছে সেটা বুঝতে পারো।


৩য় অধ্যায়ঃ

২ এর পরিপূরক,লজিক গেইট,সার্বজনীন গেইট,এনকোডার,ডিকোডার,হাফ/ফুল এডার বাস্তবায়ন। ডি মর্গানের সমীকরনটা জাস্ট মুখস্থ করো। খ নং এ আসতে পারে।

মূলত এই অল্প কয়েকটা টপিকস পড়লেই শেষ! এই অধ্যায় নিয়েই অনেকের মাথা ব্যাথা! ম্যাথ পারি না এটা সেটা! আসলে এই অধ্যায়টা অনেক মজার! কিছু না পারলেও লজিক । Gate পড়ে যেও। এটা সব থেকে মজার অধ্যায়,বুঝে মন দিয়ে পড়লে ২-৩ ঘন্টায় এই অধ্যায় শেষ। নিশ্চিন্ত থাকো, এই অধ্যায় থেকে উত্তর করলে স্যার ১০ এ ১০ দিতে বাধ্য।


৪র্থ অধ্যায়ঃ

ওয়েবসাইট কাঠামো,HTML,টেবিল তৈরি,ছবি সংযোজন, hyper link সংযোজন। মাত্র এই কয়েকটা টপিকস। এটা খুব ছোট অধ্যায়। এই অধ্যায়ের ব্যাখামূলক পড়া হচ্ছে ওয়েবসাইট কাঠামো, যেটা খুবই সহজ আর মজার। এই কাঠামো থেকে মূলত প্রশ্ন আসলে আসবে উদ্দীপকটি ট্রি নাকি হাইব্রিড নাকি লিনিয়ার কাঠামো? ব্যাখা কর এই টাইপ প্রশ্ন খুবই সহজ মাত্র ১০ মিনিট পড়লেই কাঠামোর কাহিনী শেষ! মাত্র ২ -২.৫ ঘন্টা মন দিয়ে বুঝে পড়লে এই অধ্যায় খতম!


৫ম অধ্যায়ঃ

কম্পাইলার, ইন্টারপ্রেটার ,ডেটা টাইপ, Algorithm ও ফ্লোচার্ট(সেলেসিয়াস ও ফারেনহাইট,লিপ ইয়্যার,সমান্তর ধারা, গ.সা.গু, ফ্যাক্টেরিয়াল Program ) এই অধ্যায় নিয়ে তোমরা অনেকেই ভয় পাও! তাই এটা নিয়ে বেশি কিছু বলবো না। কিন্তু এই অধ্যায়টা অনেক সহজ এন্ড মজার। গ,ঘ নংয়ে একটা প্রোগ্রাম লিখে দিবা ৪ এ ৪ পেয়ে যাবা।

1 comment: